বিডিইউতে জাতির পিতার ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ রহমানের ‘জুলিও কুরি'’ শান্তি পদক রহমানের ‘জুলিও কুরি'’ শান্তি পদক পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৩ মে,২০২৩)সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ (বিডিইউ)এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার এবং মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড.মো.আনোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘জুলিও কুরি'’ শান্তি পদক তাদেরই দেয়া হয় যারা বিশ্ব শান্তি জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদের প্রেসিডেনশিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্বশান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০ দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বঙ্গবন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্তর্জাতিক প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো.মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর রহমানের প্রাপ্ত জুলিও কুরি শান্তি পদক স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মাননা এবং প্রথম আন্তর্জাতিক অর্জন।‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির পর বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধুতে পরিণত হয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড.মো.আনোয়ার হোসেন বলেন, নিপীড়িত, নিষ্পেষিত, শোষিত, বঞ্চিত বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন কাজ করে গেছেন। বিশ্বশান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছাত্রাবস্থা থেকেই। পরে রাজনীতির মাঠে পুরোপুরি নেমে তিনি এদিকে আরও বেশি নজর দেন। বিশ্বশান্তি পরিষদের শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার কর্ম ও প্রজ্ঞার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।