বাঙালির ভাগ্যাকাশে নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু :বিডিইউ প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ এর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেছেন, যুগ যুগ ধরেই বিভাজনের রাজনীতির শিকার বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য বাঙালির ভাগ্যাকাশে নক্ষত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন। বাঙালির এই ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করার মাধ্যমে । ১৬ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার সকালে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর আরো বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার চমৎকার বিষয় হচ্ছে আমরা পারি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে পারতে শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আমাদের জাতিসত্তার পরিচয় এনে দিয়েছেন, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড দিয়েছেন,আমাদের চিন্তার বিকাশ ঘটাতে শিখিয়েছেন, নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেদের নিতে শিখিয়েছেন, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে শিখিয়েছেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে শিখিয়েছেন এবং এই প্রবৃদ্ধিকে সমাজের সবার সাথে ভাগাভাগি করতে শিখিয়েছেন।এটাই ছিলো আমাদের স্বাধীনতা। বর্তমানে, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা নিশ্চিত যে,আমরা পারি। আমাদের পদ্মা সেতু তার উজ্জল দৃষ্টান্ত। বাঙালি জাতি কোন দিকে যাবে সেই নির্দেশনা এখন তিনি দিচ্ছেন এবং তিনিই আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন যে,আমরা পারি।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,বাংলাদেশ এর ট্রেজারার প্রফেসর ড.মোঃ আনোয়ার হোসেন ঐতিহাসিক তথ্যের আলোকে বলেন,এই জনপদের মানুষের চিন্তা,কর্ম ও চর্চার ভিন্নতা ও বিভাজনকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতিসত্তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ধারনাকে সামনে নিয়ে আসেন। এবং এই ধারনার ভিত্তিতেই ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামছুদ্দীন আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.আশরাফ উদ্দিন । আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।